Student Credit Card: ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি লোন:

Student Credit Card: ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারি লোন! স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

শুধুমাত্র অর্থের অভাবে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে পারছে না তাদের জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বল্প সুদে লোন এর ব্যবস্থা করেছেন এবং এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেনস্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড” প্রকল্প। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা কোন গ্যারান্টার ছাড়াই ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেয়ে যাবে, এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের হয়ে গ্যারেন্টার থাকবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি? (Student Credit Card Scheme)

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার জন্য দেওয়া হবে। অর্থাৎ এই ঋণের টাকা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পড়াশোনার চালাতে পারবে। এই টাকা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা মোবাইল, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য পড়াশোনায় যাবতীয় জিনিস কিনতে পারবে, স্কুল বা কলেজে ভর্তির খরচ, টিউশন ফি ইত্যাদি চালাতে পারবে।

প্রকল্পের নাম

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

পরিচালনা

পশ্চিমবঙ্গ সরকার

সূচনা

৩০শে মে, ২০২১

ঋণের পরিমাণ

সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা

সুদের পরিমাণ

শতাংশ থেকে শতাংশ

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা (Benifits)

এবার দেখে নেওয়া যাক স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহারের কি কি সুবিধা রয়েছে।

() স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর এবং অন্যান্য ডিগ্রী কোর্সে পড়াশোনা করার জন্য নিম্ন সুদে লোন পাওয়া যাবে।
() পশ্চিমবঙ্গের স্কুল কলেজ ছাড়াও ভারতের অধিকাংশ স্কুল কলেজ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড একসেপ্ট করবে।
() শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিষয়ে বা যেকোনো কোর্সেই পড়াশোনা করুক না কেন এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবে।
() ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোনের সুবিধা দেওয়া হবে।
() শিক্ষার্থীরা সরকারি ব্যাংক, প্রাইভেট ব্যাংক সমবায় ব্যাংক যেকোনো ব্যাংক থেকেই লোন নিতে পারবে।

কারা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাবে

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের যেসকল যোগ্যতার প্রয়োজন সেগুলি হল।

() স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীর পরিবারকে পশ্চিমবঙ্গ বিগত ১০ বছরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
() স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই মাধ্যমিক পাস হতে হবে।
() স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স ৪০ এর মধ্যে হওয়া প্রয়োজন।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন পদ্ধতি

ছাত্র-ছাত্রীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের জন্য সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর আবেদনকারীর সমস্ত বিবরণ এবং ব্যাংকের তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনের নথিপত্র আপলোড করতে হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদনর ডাইরেক্ট লিংক » Apply Now

https://wbscc.wb.gov.in/

প্রয়োজনীয় নথিপত্র

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে আবেদনের জন্য যেসকল নথিপত্রের প্রয়োজন সেগুলো হল।

() আবেদনকারীর বিগত পরীক্ষার মার্কশীট।
() নির্দিষ্ট ক্লাসে বা নির্দিষ্ট কোর্সে ভর্তির রশিদ।
() আবেদনকারীর ঠিকানার প্রমাণপত্র (যেমন:- রেশন কার্ড ইত্যাদি)
() আবেদনকারীর পরিচয় প্রমাণপত্র (যেমন:- আধার কার্ড ইত্যাদি)
() আবেদনকারীর নিজস্ব পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটোগ্রাফ।
() পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র।
() আবেদনকারী এবং অভিভাবকের ব্যাংকের পাসবুক। এর সঙ্গে মাসের স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
() আবেদনকারীর অবিভাবকের ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং পরিচয়ের প্রমাণপত্র।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের নিয়ম

কোন শিক্ষার্থী যদি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নিয়ে থাকে তাহলে লোনের টাকার উপর বার্ষিক শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। কিন্তু পড়ুয়া যদি পড়াশোনা শেষ করার মুহূর্তে বা পড়াশোনা চলাকালীন লোনের টাকা পরিশোধ করে তাহলে শতাংশ ছাড় পেয়ে যাবে অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সেই পড়ুয়াকে বার্ষিক শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

কোন শিক্ষার্থী যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য লোন নিয়ে থাকে তাহলে সেই লোনের টাকা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

চাকরি না পেলেও কি লোনের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প নিয়ে অধিকাংশ ব্যক্তির মনে যে প্রশ্নটি রয়েছে সেটি হল, লোন নিয়ে পড়াশোনা করার পর ছাত্র-ছাত্রীরা যদি চাকরি না পায় তাহলে সেক্ষেত্রে কি লোনের টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে? এক্ষেত্রে বলে রাখি চাকরি না পেলে যে লোনের সমস্ত টাকায় মুকুব করা হবে নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনরকম অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তাই লোন নিয়ে পড়াশোনা করার পর চাকরি পেলেও বা চাকরি না পেলেও লোনের টাকা শোধ করতে হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের নিয়ম

কোন শিক্ষার্থী যদি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নিয়ে থাকে তাহলে লোনের টাকার উপর বার্ষিক শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। কিন্তু পড়ুয়া যদি পড়াশোনা শেষ করার মুহূর্তে বা পড়াশোনা চলাকালীন লোনের টাকা পরিশোধ করে তাহলে শতাংশ ছাড় পেয়ে যাবে অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সেই পড়ুয়াকে বার্ষিক শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।

কোন শিক্ষার্থী যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য লোন নিয়ে থাকে তাহলে সেই লোনের টাকা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি?

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হল রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে ছাত্রছাত্রীরা নিম্ন সুদে পড়াশোনার জন্য 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার?

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার হল শতাংশ থেকে শতাংশ পর্যন্ত।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কবে চালু হয়?

৩০শে মে, ২০২১ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্য ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস হতে হবে এবং ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হতে হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারবে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবতীয় সামগ্রী কিনতে পারবে অর্থাৎ শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ঋণের অর্থ এই ব্যয় করতে পারবে

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা মাত্র থেকে শতাংশ সুদে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পেয়ে যাবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অসুবিধা

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে এর বেশি পারবেনা এবং পড়াশোনার পর চাকরি না পেলেও ছাত্র-ছাত্রীদের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে।

 

 

No comments

Powered by Blogger.