RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?

 

RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?

 


RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?

কম্পিউটার ব্যবহার করছেন কিন্তু RAM এবং ROM এই দুইটা ওয়ার্ড শুনেন নি এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না আজকে আমাদের এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করবো RAM এবং ROM নিয়ে এক্সপ্লেইন করবো আসলে এই দুইটা কি কাজে ব্যবহৃত হয় আশা করি র্যাম এবং রম নিয়ে আপনাদের মধ্যে যত প্রশ্ন আছে, সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এই পোস্টের মধ্যে

 

RAM কি?

 

RAM এর পুর্ন অর্থ হচ্ছে Random Access Memory যা কম্পিউটারের একটি খুবই জরুরি অংশ এটা খুবই সুপার ফাস্ট একটা মেমোরি একবার ফোন বা পিসি অন-অফ করলেই এতে জমা থাকা সমস্ত তথ্য মুছে যায় র্যামে খুবই অল্প এবং খুবই জরুরি কিন্তু তথ্য জমা থাকে শুধু আপনি চাইলে BIOS এর মাধ্যমে সেটা চেক করে দেখতে পারেন

 

্যামের কাজ কি? এবং কিভাবে কাজ করে?

 

্যামের কাজ করার প্রসেসটা আপনাদেরকে বুঝাতে হলে একটু এক্সপ্লেইনড এক্সাম্পলে যেতে হবে সাপোজ আপনি টুলের উপর দুইটা পানির গ্লাস রাখলেন এখন আপনি চাইলে সেখানে একটা মগ, একটা চামচ কিংবা আরো কিছু জিনিস রাখতে পারবেন কিন্তু একটা পর্যায়ে ওই টুলের মধ্যে জিনিসপত্র রাখার মত আর কোন স্পেস বাকী থাকবে না

তখন যদি আপনি কিছু রাখতে চান, হয়তো আপনাকে কিছু জিনিস সরাতে হবে কিংবা ফোর্স করে রাখতে চাইলে কিছু জিনিস টুল থেকে পরে যাবে কিন্ত আপনি যদি আপনার টুলকে বড় করেন কিংবা টুলের জায়গায় টেবিল ব্যবহার করেন তবে আপনি আরো বেশী জিনিস রাখতে পারবেন

 

অনেকেই হয়তো ভাবছেন এটার সাথে র্যামের সম্পর্ক কি তাহলে দেখুনঃ

 

সাপোজ আপনার ল্যাপটপের মোট র্যাম হচ্ছে জিবি, এখন আপনি ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করলেন সেটা রান হওয়ার জন্য আপনার র্যামের টোটাল স্পেস থেকে ৫০০ এম বি ব্যবহৃত হয়ে গেলো এখন অবশিষ্ট আছে আরো . জিবি এখন আপনি আরো কিছু প্রোগ্রাম রান করলেন, এবং আপনার র্যাম জিবি ফুল ইউজড হয়ে গেলো

 

এই অবস্থায়, আপনি চাইলে আর কোন প্রোগ্রাম রান করতে পারবেন না কারন আপনার র্যামের এর বেশী ধারন ক্ষমতা নাই

 

রান করতে চাইলে, পুর্বে ওপেন করা কিছু প্রোগ্রাম আপনাকে ক্লোজ করে র্যাম খালি করে নিতে হবে এক্ষেত্রে যদি আপনার র্যামের স্টোরেজ আরো বেশী হতো তাহলে আপনি আরো বেশী পরিমানে প্রোগ্রাম রান করতে পারতেন এক সাথে

 

ঠিক এই কারনে আমরা যখন বেশী প্রোগ্রাম এক সাথে রান করি তখন আমাদের ডিভাইস স্লো হয়ে যায় কারন র্যামে জায়গার পরিমান কমে যায় র্যামে যত বেশী খালি স্পেস থাকবে র্যাম তত বেশী ফাস্ট কাজ করবে এবং আপনি বেটার ইউজিং এক্সপেরিয়েন্স পাবেন

 

ROM কি?

 

ROM হচ্ছে Read-Only Memory যা কম্পিউটারের স্থায়ী মেমোরি হিসেবে পরিচিত কম্পিউটার এর স্মৃতিতে কিছু প্রোগ্রাম এবং ডকুমেন্ট এমন ভাবে দেওয়া থাকে যা আমরা কোনভাবেই রিরাইট, ডিলিট বা কিচ্ছু করতে পারি নাহ কম্পিউটারের সেই স্মৃতিকেই মুলত বলা হয় ROM বা রিড অনলি মেমোরি এই মেমোরি ফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, স্মার্ট টিভি সহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে দেওয়া থাকে

 

ROM এর একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছেঃ CD ROM, যদি এখন এর ব্যবহার কম একটা সময় আমরা CD রমের মধ্যে সিডি বা ডিভিডি ক্যাসেট ঢুকিয়ে সেখানে থাকা গান বা মুভি প্লে করতাম এটাই হচ্ছে স্থায়ী স্মৃতি আমরা চাইলে ওই সিডিকে কোনভাবেই ইডিট করতে পারতাম নাহ

 

নোটঃ বর্তমানে বাজারের অনেক স্থায়ী মেমোরি আছে যা আমরা Read and Write দুটোই করতে পারি

 

রমের কাজ কি?

 

রমের মুল কাজই হচ্ছে স্মৃতি ধরে রাখা সাপোজ আপনি আপনার ক্যামেরায় একটা ছবি তুললেন এবং সেটা আপনার মেমোরি কার্ডে জমা করে রাখলেন এখন সেই ফাইলটা যতক্ষন না আপনি ডিলিট করছেন, সেটা সেখানেই স্থায়ী ভাবে থাকবে এখানে মেমোরি কার্ড এক ধরনের রম হিসেবেই কাজ করছে, কারন এটা আপনার স্থায়ী ডাটা ধারন করতেছে

 

রম এখন অনেক প্রযুক্তিগত ভাবে এগিয়ে গেছে এবং খুব সহজেই রিড এবং রাইট করা যায় এই ধরনের স্থায়ী মেমোরি বাজারে পাওয়া যায়

সব কিছু পরে আলোচনা করবো RAM এবং ROM এর মধ্যকার পার্থক্য নিয়ে এই দুটো মেমোরিই কম্পিউটারের জন্য খুবই জরুরি এদের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য গুলো জেনে নেওয়া যাকঃ

 

স্পীডঃ

 

্যামের স্পীড অনেক বেশী থাকে

রম তুলনামুলকভাবে অনেক স্লো থাকে

 

স্টোরেজ ক্যাপাবিলিটিঃ

 

রমকে বলা হয় ‘non-volatile’ মেমোরি, যেখানে ডাটা স্টোর করতে রাখার জন্য আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাই দিতে হবে না

 

কিন্তু ্যামে ডাটা ততক্ষনই থাকবে, যতক্ষন সেটাতে প্রোপার পাওয়ার সাপ্লাই থাকবে

 

স্টোরেজ ক্যাপাসিটিঃ র্যামের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক বেশী থাকে, কারন এটা ক্যাশ মেমোরি হিসেবে কাজ করে

 

রমের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক অল্প থাকে এবং এতে খুবই সামান্য পরিমান ডাটা জমা থাকে

 

দামঃ

 

্যামের স্পীড অনেক বেশী হওয়ায়, সেটার প্রাইস রম থেকে অনেক বেশী

রমে অনেক বেশী স্টোরেজ পাওয়া গেলে সেটা অনেক অল্প দামে পাওয়া যায়

 

কাজঃ

 

্যামে কাজ করে সিপিইউ এর ক্যাশ মেমোরি হিসেবে, যা আমাদের প্রাইমারি মেমোরি এবং এটা ছাড়া কোন পিসি বা ফোন চালানোই সম্ভব না

অন্যদিকে রম কাজ করে কিছু প্রোগ্রাম বা ডাটার স্টোরেজ হিসেবে

 

আকারঃ

 

্যাম আকারে অনেক বড় এবং দামী

সে তুলনায় রম অনেক ছোট এবং দাম কম

এগুলোই হচ্ছে রম এবং র্যামের মধ্যে মুল পার্থক্য সমুহ

 

আপনার যদি এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনি আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন

 

 

মেমোরি কার্ড ভালো রাখার টি উপায়

 

এখানে আমরা টি টিপস শেয়ার করছি আপনাদের জন্য, এবং আশা করছি এই টি টিপস ভালো ভাবে অনুসরন করলে আপনারা আপনাদের মেমোরি কার্ড রিলেটেড সকল জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন

 

. সেফলি ইনসার্ট এবং ইজেক্ট করুন

 

চালু থাকা ক্যামেরা বা ফোনে মেমোরি কার্ড ইনসার্ট না করাটাই বেটার সব সময় চেষ্টা করবেন ফোন বা ক্যামেরা অফ করার পরে সেখানে মেমোরি কার্ড ইনসার্ট করতে

 

একই নিয়ম হচ্ছে ইজেক্টের ক্ষেত্রে প্রোপারলি ফোন বা ক্যামেরা বন্ধ করে, তারপরে ইজেক্ট করুন পিসি থেকে মেমোরি খোলার পুর্বে সেফ ইজেক্ট বা সেফ রিমুভাল নামের যে অপশন আছে, সেটা ব্যবহার করুন অনেকে মনে করেন এসব ইউজলেস প্রোগ্রাম, কিন্তু নাহ, মোটে না

 

কারন আপনি যখন সেফ রিমুভ দিয়ে মেমোরি খুলেন, এর মানে হচ্ছে মেমোরি খোলার আগেই সেটা আপনার পিসি থেকে ডিসকানেক্টেড হয়ে গেছে আর কাজ করছে না, এখন এটা খুলে ফেলাটা সেফ কিন্তু সেফ রিমুভ না দিয়ে খুললে আপনি আপনার মেমোরি কাজ করা অবস্থায় খুলে ফেললেন, এটা মোটে ভালো প্র্যাকটিস নাহ

 

. মেমোরি সম্পুর্ন ফুল করবেন নাহ

 

সাপোজ আপনার মেমোরি কার্ড জিবি, এখন আপনি যদি জিবিই ফুল করে সেটা ইউজ করতে থাকেন, তাহলে ওটার ডাটা রীড এবং রাইট করতে যথেষ্ট সমস্যা হবে

এজন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে মেমোরির মিনিমাম ১০-১৫% স্পেস ফাকা রাখতে যদি এর বেশী ফাকা রাখা যায়, তাহলে আরো ভালো

 

. অরিজিনাল ব্র্যান্ডের মেমোরি কিনতে হবে

 

আমরা কম দামে মেমোরি কিনতে গিয়ে অনেক সময় বাজে কোয়ালিটির মেমোরি কিনে ফেলি মেমোরি নষ্ট হওয়ার অন্যতম একটা বড় কারন হচ্ছে এই লো-কোয়ালিটি মেমোরি ইউজ করা সো আমাদের সব সময় ভালো কোয়ালিটির এবং ব্র্যান্ডেড মেমোরি কার্ড ইউজ করতে হবে

 

অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, ভালো কোয়ালিটির মেমোরি কার্ড কোথায় পাবো? এটার সবচেয়ে সহজ সমাধান হচ্ছে ব্র্যান্ডে দোকান থেকে মেমোরি কার্ড কেনা সাপোজ আপনি যদি স্যামসাং ইউজার হয়ে থাকেন, স্যামসাং এর শো রুমে আপনি তাদের অরিজিনাল মেমোরি কার্ড পেয়ে যাবেন

 

. হাই কোয়ালিটি কার্ড রিডার ইউজ করতে হবে

 

কার্ড রিডার ইউজ করি আমরা ডাটা ট্রান্সফারের জন্য, কিন্তু সেটার কোয়ালিটি যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে ডাটা রীড এন্ড রাইট করতে যথেষ্ট সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা স্লো হয়ে থাকে

এক্ষেত্রে আপনার মেমোরি কার্ড যত ভালো কোয়ালিটিরই হোক না কেন, কার্ড রিডারের কারনে আপনি ভালো আউটপুট পাবেন না আবার এটা আপনার মেমোরিকে নষ্ট করতে ফেলতে পারে

 

. ক্যামেরায় ব্যবহারের পুর্বে ফরম্যাট করে নিন

 

অনেকেই আমরা ক্যামেরাতে মেমোরি কার্ড ইউজ করি তো ক্যামেরায় মেমোরি কার্ড ব্যবহারের কিছু শর্ত আছে এর মধ্যে অন্যতম হলো, প্রতিবার ব্যবহারের পুর্বে সেটাকে ফরম্যাট করে নিতে হবে এতে করে মেমোরি কার্ড ভালো ভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে

আর চলতি ক্যামেরায় কখনোই মেমোরি খোলা বা লাগানো যাবে না সব সময় চেষ্টা করতে হবে হাই স্পীডে ডাটা রীড/রাইট করতে পারে, এমন মেমোরি কার্ড ইউজ করার

ক্যামেরায় লাগানো অবস্থায় মেমোরি কার্ড থেকে ফটো/ভিডিও ডিলেট না করাই শ্রেয়, ওইটা পরবর্তীতে আপনার ল্যাপটপে করতে পারবেন

 

. ব্যাকাপ মেমোরি কার্ড রাখুন

 

সব সময় চেষ্টা করবেন, আপনার ফাইল গুলোর জন্য একটা ব্যাকাপ রাখতে এতে করে আপনি কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত ফাইল লসের শিকার হলে যেন আপনার গুরুত্বপুর্ন ফাইল গুলো আপনার কাছে জমা থাকে

 

 

 

 

 

 মেমোরি কার্ড রিকভারি কিভাবে করবো?

 

কিন্তু এত কিছুর পরে , আমরা প্রায়ই আমাদের মুল্যবান ডাটা হারিয়ে ফেলি মেমোরি কার্ড থেকে তো এখন প্রশ্ন হচ্ছে মেমোরি থেকে কিছু অনিচ্ছায় ডিলেট হয়ে গেলে বা ক্র্যাশড হলে সেটা কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব?

 

উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই ফিরিয়ে আনা সম্ভব

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে সম্ভব?

 

শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো, ডাটা রিকভার করা খুবই জটিল একটা প্রসেস আপনারা অনেক ইউটিউব ভিডিও কিংবা ব্লগ পোস্টে হয়তো দেখে থাকবেন যে বিভিন্ন সফটওয়ার ইউজ করে মিসিং ডাটা বের করা যায়

 

আপনি হয়তো অনেক সফটওয়ারের নাম দেখেছেন

 

কিন্তু, বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এসব সফটওয়ার আপনার ডাটা ফিরিয়ে দেওয়া দুরের কথা, ডাটাকে স্থায়ী ভাবে হারিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত করে দেয়

 

সেজন্য, আপনার উচিত হবে এসব থার্ড পার্টি কোন সফটওয়ার ইউজ না করে, সরাসরি ডাটা রিকভারি কোন এক্সপার্টের সাথে আলোচনা করা এবং এই বিষয়ে তাদের সাজেশন নেওয়া

 

প্রয়োজন অনুসারে, দক্ষ ডাটা রিকভারি এক্সপার্ট দিয়ে আপনার ডাটা রিকভার করিয়ে নেওয়া

কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার ডাটা খুবই জরুরি এবং প্রাইভেট হতে পারে, তাই স্বনামধন্য এবং ট্রাস্টেড কোন প্রতিষ্ঠানকেই এই কাজের জন্য বাছাই করা উচিত বলে আমি মনে করি

 

উপসংহার

 

মেমোরি কার্ড সমস্যার সমাধান নিয়ে আপনাদের সাথে এই ব্লগ পোস্টে আলোচনা করলাম, আশা করি আপনারা আপনাদের মেমোরি কার্ড রিলেটেড যত জটিলতা আছে, সেসবের উত্তর পেয়ে গেছেন আর হ্যাঁ, মেমোরি কার্ড রিকভারির জন্য আপনার চাইলে আমাদের ডাটা রিকভারি স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা যত্ন সহকারে আপনার মুল্যবান ডাটা রিকভার করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ


Read More

Read More

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচিতি


RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?


HDD এবং SSD কি?


কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কিকেনকিভাবে?


কন্টেন্ট রাইটিং কিকেন এত গুরুত্বপূর্ণ? (বিস্তারিত জানুন)


পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ

No comments

Powered by Blogger.