এসইওর কিছু ভুল প্রাকটিস

 

এসইওর কিছু ভুল প্রাকটিস



ব্লগারদের কাছে ব্লগ একটি স্বপ্নের নাম। এটি যেমন একজন ব্লগারকে নাম খ্যাতি এনে দেয়, একইভাবে অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে এই ব্লগ। একজন লেখকের অনলাইন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অনলাইনে তার ইতিবাচক বিচরণ অতীব জরুরী। আর এক্ষেত্রে ব্লগিং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। অনেকেই চোখে নানা স্বপ্ন নিয়ে আসেন ব্লগিং ক্যারিয়ার জয় করার। কিন্তু অপ্রিয় সত্য এই যে, সঠিক নিয়ম কানুন না মেনে ব্লগ প্রকাশ করা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অনুসরণ না করায় অনেকের ব্লগিং ক্যারিয়ার মুকুলেই ঝড়ে যায়। ভুল পথে ব্লগিং করার ফলে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বা ভিজিট আসবে না। আপনি হয়তো অনেক চেষ্টা করবেন, কিন্তু আগে থেকেই ভুল কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করায় গুগলে আপনার ওয়েবসাইট ্যাঙ্ক হবে না। আর যখনই এমনটা হবে, আপনি হতাশার মধ্যে পরে যাবেন। ফলে আপনার একজন সফল ব্লগার হওয়ার স্বপ্ন অকালেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

আমরা ১০ টি মারাত্মক ভুল নিয়ে আলোচনা করবো, যেগুলো একজন উদীয়মান ব্লগার প্রায়শই করে থাকে। পাশাপাশি আমরা এই সমস্যাগুলোর সঠিক সমাধান বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো। এর ফলে আপনি আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ারের সঠিক গাইডলাইন খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন।

একজন ব্লগার হিসেবে যখন আপনি নতুন এই প্লাটফরমে আসবেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই অনেক কিছুই আপনার অজানা থাকবে। আমরা সেই বিষয়গুলোর ওপর আলোকপাত করবো, যাতে করে আপনি আপনার ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে পারেন। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আগের তুলনায় আরো বেশি ট্রাফিক আসবে এবং আপনার সফলতাও আগের থেকে অনেকাংশে বেড়ে যাবে। অপরদিকে আপনি

যদি এই মারাত্মক ১০ টি ভুল সংশোধন না করে এড়িয়ে যান, তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর আনা সত্যিই খুব কঠিন ব্যপার হয়ে উঠবে।

. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করা: একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে একটি স্বপ্ন। এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক আবেগ, ত্যাগ এবং পরিশ্রম। কিন্তু আপনার এই পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর না আসে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক না আসার অন্যতম প্রধান একটি কারণ হচ্ছে অতি নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করা। বেশির ভাগ নতুন ব্লগারই কোন না কোনভাবে নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করে থাকেন।

আর এই নিম্নমানের হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটকে ্যাঙ্ক না করানোর জন্য দায়ী। যথন আপনি খুবই নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করবেন, আপনার ওয়েবসাইট অনেক স্লো হয়ে যাবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুবই কম গতিতে লোডিং হবে। আর অপেক্ষাকৃত স্লো সাইট হওয়ায় গুগল সার্চে আপনার ওয়েবসাইটটি অনেক পিছিয়ে যাবে। ফলে আপনি অনেক বড় অংকের একটি ভিজিটর হারাবেন।

এছাড়াও হোস্টিং যদি মানসম্মত না হয়, বেশিরভাগ সময়েই আপনার ওয়েবসাইট ডাউন থাকবে। অর্থাৎ, ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের কাছে কোয়ালিটির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না।

সুতরাং টাকা একটু বেশি খরচ হলেও ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করুন। বিদেশী হোস্টিং প্রোভাইডারের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশেও অনেক প্রোভাইডার আছেন যার ভালো মানের হোস্টিং সুবিধা দিয়ে থাকেন। তবে যাদের সেবাই গ্রহণ করেন না কেন, অবশ্যই আগে তা যাচাই করে নেবেন।

. ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করা: প্রাথমিকভাবে ব্লগিং শেখার জন্য আমি ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করাকেই বেশি সাজেস্ট করে থাকি। কিন্তু যখন আপনি প্রফেশনালি আপনার ব্লগটিকে দাঁড় করাতে যাবেন, তখন এই ফ্রি ডোমেইনের ব্যবহার মাথা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। অনেককেই দেখা যায় প্রফেশনাল লেভেলে প্রবেশ করেও blogspot বা wordpress এর ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করেন। যা অনেক বড় ভুল।

প্রিমিয়াম ডোমেইনের বদলে ফ্রি ডোমেইন ব্যবহার করলে তা গুগলে সার্চ রেজাল্টে অনেক প্রভাব ফেলে। সার্চ ইঞ্জিনে সাধারণত ফ্রি ডোমেইনগুলোর সাইট কম আসে। ফলে এখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার সম্ভাবনাও খুবই কম।

একটা কথা মনে রাখবেন, যে ওয়েবসাইট দিয়ে আপনি টাকা উপার্জন করবেন, সেই ওয়েবসাইটের পেছনে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিনিয়োগ করা উচিত। নয় তো তার ফল কখনোই খুব একটা ভালো হবে না। বর্তমানে একটি .com ডোমেইন ৯০০ টাকায় পাওয়া যায়। অনেক ডোমেইন প্রোভাইডার আছেন, যারা ৯০০ টাকার কমেও .com ডোমেইন প্রোভাইড করে থাকেন। এছাড়া .net, .info এবং org ডোমেইনগুলোও অল্প দামে পাওয়া যায়।

তাই আপনি অল্প কিছু টাকা খরচ করলেই হয়তো একটি ভালো মানের প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনতে পারবেন। আর এই প্রিমিয়াম ডোমেইন ব্যবহার করলে যে শুধু আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে তা নয়, এটা আপনার ওয়েবসাইটকে প্রফেশনাল একটি লুকিং এনে দেবে। ফলে আপনার সাইটের প্রতি ভিজিটরদের আকর্ষণ এবং আস্থা দুটোই বাড়বে।

. নিম্ন মানের থিম ব্যবহার করা: প্রফেশনাল ব্লগের জন্য নিম্ন মানের থিম ব্যবহার করা মারাত্মক একটি সিদ্ধান্ত। সাধারণত কিছু ফ্রি এবং নিম্ন মানের থিমে প্রফেশনাল লেভের কোডিং করা থাকে না। যার ফলে ওই থিমগুলো এসইও ফ্রেন্ডলি হয় না।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে থিমের কোডিং এর সাথে এসইও' কি সম্পর্ক? হ্যাঁ, সম্পর্ক আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্ন মানের থিমগুলোতে কোডিং এর স্টান্ডার্ড মেইনটেইন করা হয় না। যেমন, কেউ কেউ কনটেন্টের মেইন হেডলাইনের জন্য h2 অথবা তার পরবর্তী ট্যাগগুলো ব্যবহার করে থাকে। অথচ একটি হেডলাইনকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হলে h1 ট্যাগের ব্যবহার বাঞ্চনীয়। অপরদিকে ধরনের থিমগুলোতে আপডেট আসার সম্ভাবনা কম থাকে। অনেক ক্ষেত্রে থাকেই না। থিমগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্লো হয়। ফলে সাইটের লোডিং স্পীড দীর্ঘ করে। তাই নতুন ব্লগার হিসেবে নিম্নমানের থিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার চেষ্টার করুন।

অল্প কিছু টাকা খরচ করে প্রিমিয়াম থিম কিনে ফেলুন। Themeforest থিম বিক্রির জনপ্রিয় একটি প্লাটফরম। এখানে আপনি আপনার সাধ্যের মধ্যে অল্প খরচেই মানসম্মত থিম পাবেন। পরবর্তীতে থিম ব্যবহারে কোন প্রকার সমস্যা হলে ওই থিমের অভিজ্ঞ ডেভেলপারগণ আপনাকে

তবে একান্তই যদি ফ্রি থিম ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসের থিম গ্যালারী থেকে বিনামূল্যে হাজার হাজার থিম ব্যবহার করতে পারেন। এই থিমগুলো ফ্রি হলেও কোয়ালিটির দিক থেকে বেশ ভালো।

অনলাইন সাপোর্ট দেবে। তাছাড়া, প্রিমিয়াম থিমগুলোতে আপনি যে এডভান্স ফিচারগুলো পাবেন, তা একটি ফ্রি থিমে পাওয়া সম্ভব না।

. নিম্নমানের আর্টিকেল পোস্ট করা: নতুন ব্লগার তো বটেই অনেক ক্ষেত্রেই পুরোনো ব্লগারদেরও ব্লগে নিম্নমানের আর্টিকেল পোস্ট করতে দেখা যায়। অধিকাংশ সময়েই তারা আর্টিকেল লেখার ন্যূনতম নিয়মগুলো মেইনটেইন করেন না। একটি আর্টিকেল লিখতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। একটি ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে হাতে / ঘণ্টা সময় নিয়ে কাজে নেমে পরা একদমই উচিত নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে, ব্লগে প্রকাশিত আর্টিকেলের গুণগত মানই হচ্ছে আপনার ব্লগের পরিচয়। আর ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফলতা পাওয়ার জন্য এই দিকে ভালো ভাবে লক্ষ্য দেয়াটা প্রথম থেকেই অনেক জরুরি একটি বিষয়।

আপনি যখন একটি ভালো সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখবেন, আপনাকে অবশ্যই অনেক তথ্য রিচার্স করে লিখতে হবে। একটি আর্টিকেল লিখতে আরো ১০ টি ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হবে। স্বভাবতই জন্য আপনার যথেষ্ট পরিমাণে সময় ব্যয় করতে হবে।

কিন্তু যারা অল্প সময়েই অধিক সফলতা চায়, তারা আর্টিকেল লেখার পেছনে সময় দিতে চায় না। ফলে বিভিন্ন ব্লগ থেকে কপি-পেস্ট করে নিজের ব্লগে পাবলিশ করে দেয়। ধরনের নিম্নমানের আর্টিকেলগুলো সার্চ রেজাল্টে আসে না। ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়াও আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ কিছু নিয়ম মানতে হবে। একটি আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ অবধি অনেকগুলো অংশ থাকে। এই অংশগুলো কিভাবে সাজাবেন তা জানতে হবে। কিভাবে একটি আর্টিকেলকে প্রফেশনাল রূপ দেবেন, সম্পর্কে আমরা কোর্সটিকার কনটেন্ট রাইটিং পর্বে লিখেছি। লেখাগুলো পড়ে নিতে পারেন।

তাই ব্লগে লেখার আগে সাধারণ নিয়মগুলো মেনে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেলের মান অনেক উন্নত হবে।এতে করে ভিজিটরদের কাছে আপনার লেখা আর্টিকেলের মূল্যায়ন বাড়বে। ফলে গুগলে আপনার আর্টিকেল সহজেই ্যাঙ্ক দখল করে নেবে।

. কীওয়ার্ড রিসার্চ না করা: আপনি যদি নির্দিষ্টি একটি বিষয় আর্টিকেল লিখতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনার ওই বিষয়টি সম্পর্কে কীওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে হবে। অনেক ব্লগাররাই এই বিষয়টি এড়িয়ে যান। কীওয়ার্ড রিসার্চ এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোন আর্টিকেল লেখার আগেই করতে হয়। আপনি যখন একটি আর্টিকেল লেখার প্রস্তুতি নেবেন, তখন আপনাল বিষয়বস্তুর সাথে সম্পকৃক্ত এমন কিছু শব্দ বা বাক্যাংশই হচ্ছে কীওয়ার্ড। এই কীওয়ার্ড সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়।

মনে করুন, একটি কীওয়ার্ড যেমন: “কিভাবে ব্লগ তৈরি করবোএর ওপরে আর্টিকেল লিখার কথা ভাবছেন। তাহলে কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে এই কীওয়ার্ড, মাসে কতবার গুগল সার্চ হচ্ছে, অথবা এই কীওয়ার্ডের প্রতিযোগিতা (competition) বেশি না কম তার সবটাই জেনে নিতে পারবেন।

কীওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে কোন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা লাভজনক এবং কোন কীওয়ার্ড টার্গেট করলে লাভ হবে না সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব।

তাই, পারফেক্ট কীওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনি অনেক সহজে লাভজনক কীওয়ার্ডগুলো টার্গেট করে আর্টিকেল লিখতে পারেন। এর ফলে গুগল সার্চ থেকে অধিক পরিমাণে ট্রাফিক ভিজিটর পেতে সক্ষম হবেন। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য আপনি গুগলের Google Keyword Planner ব্যবহার করতে পারেন। এটি ফি, ব্যবহার করা সহজ এবং অনেক কার্যকরী।

. কীওয়ার্ড অপটিমাইজ না করা: আপনার ব্লগের আর্টিকেলের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চই শেষ কথা নয়। কীওয়ার্ড রিসার্চের পরে আসে রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেলের কোথায় কোথায় বসাবেন, সেই বিষয়টি। আপনার রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেল লেখার সময় বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করতে হবে। এটাই মূলত কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশন। ভালোভাবে কীওয়ার্ড অপটিমাইজ না করার ফলে ভালো এবং মানসম্মত আর্টিকেল লেখা সত্ত্বেও আপনার আর্টিকেলগুলো গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সেরা ১০ রেজাল্টে ্যাঙ্ক করবে না।

একটি আর্টিকেলের বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যেমন: টাইটেল, সাব-টাইটেল, মেটা ডিসক্রিপশন, URL Address, Image Alt Tag ইত্যাদি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে রিসার্চ করা কীওয়ার্ডটি আর্টিকেলের এই সকল জায়গায় সফলভাবে ব্যবহার করলে ওই আর্টিকেলটি খুব দ্রুত ্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এছাড়া আর্টিকেলের প্রথম প্যারাগ্রাফ এবং আর্টিকেলের আরো কিছু অংশে বেছে নেয়া টপিকের কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করতে হয়। এতে, সার্চ ইঞ্জিন অনেক সহজে বুঝতে পারে যে আপনার আর্টিকেল সেই টার্গেট করা কীওয়ার্ড সাথে জড়িত। ফলে, টার্গেট করা কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে নিজের ব্লগের আর্টিকেলে অধিক পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

এক্ষেত্রে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ব্লগ তৈরি করে থাকেন, তাহলে Yoast SEO প্লাগিনটি বিনামূল্যে ব্যবহার করে অনেক সহজে নিজের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড অপটিমাইজ করতে পারবেন। পাশপাশি এর পেইড ভার্সনটি ক্রয় করে আরো বেশ কিছু প্রিমিয়াম সার্ভিস পাবেন।

. Interlinking ব্যবহার না করা: একটি ওয়েবসাইটের এসইও প্রক্রিয়া প্রধানত দুই প্রকার হয়ে থাকে। একটি অন পেজ এবং আরেকটি অফ পেজ। Interlink অন পেজ এসইওর অন্তর্ভুক্ত। অন পেজ এসইওর ক্ষেত্রে Interlinking খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এই পদ্ধতিতে আপনার ওয়েবসাইটেরই একটি আর্টিকেলের সাথে অন্য একটি আর্টিকেলের লিংকিং করতে হবে। যখন আপনি কোন একটি বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন, তখন আপনার উচিত হবে আপনার ওয়েবসাইটে আগে থাকা অন্য কোন আর্টিকেলের লিংক ওই নতুন পেজে উল্লেখ করা। এর ফলে কোন পাঠক একটি আর্টিকেল পড়া শেষ হতে না হতেই আরেকটি আর্টিকেল চোখের সামনেই পেয়ে যাবে৷ ফলে ওই পাঠক আপনার দেয়া আরেকটি আর্টিকেলের লিংকে ক্লিক করবে। এতে করে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

আপনার মনে রাখতে হবে, অন পেজ এসইও-তে Interlinking একটি সেরা মাধ্যম যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ভালো ফলাফল এনে দেয়। তাই আপনি যদি এখনো আপনার ওয়েবসাইটে Interlinking প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেন তাহলে এটা আপনার জন্য মারাত্মক একটি ভুল। আপনার কনটেন্টের ভালো ্যাঙ্ক পেতে হলে এর Interlinking প্রক্রিয়া অনিবার্য।

. সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করা: আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগারদের শুধুমাত্র ফেসবুক কেন্দ্রিক পাবলিসিটি করতে দেখা যায়। আর্টিকেল পাবলিশ করে শুধুমাত্র ফেসবুকে শেয়ার করাটাকেই অনেকে যথেষ্ট বলে মনে করে৷ কিন্তু এটা ভুল একটি কাজ। ফেসবুক থেকে আপনার অনেক বড় ধরনের একটি ভিজিটর আসবে এটা সত্য। কিন্তু তার পাশাপাশি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আপনার ব্লগের অস্তিত্ব টিকিয়া রাখতে হবে।

আপনার ব্লগের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল তৈরি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরবর্তীতে সেখানে আপানার লেখা পোস্টগুলোকে শেয়ার করতে হবে। শেয়ার করার জন্য আপনি পিন্টারেস্ট, লিংকডইন কিংবা টুইটারের মত প্লাটফরমগুলোকে বেছে নিতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এসব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপনি খুব বেশি ট্রাফিক পাবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনার শেয়ার করা সেই পোস্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনে আসতে থাকবে। যেখান থেকে পরবর্তীতে আপনি অনেক ট্রাফিক পেতে সক্ষম হবেন।

এছাড়াও একটি ওয়েবসাইটের সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল তৈরি থাকলে ভিজিটরদের ওই ওয়েবসাইটের প্রতি আস্থা বাড়ে। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য খুবই ভালো এবং ইতিবাচক দিক। তাই শুধু ফেসবুকই না, অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ও আপনার ওয়েবসাইটের নামে প্রোফাইল তৈরি করুন। সেগুলোর লিংক আপনার ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করুন এবং নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সেখানে শেয়ার করতে থাকুন।

. গেস্ট ব্লগিং না করা: আপনার ওয়েবসাইটকে ্যাঙ্ক করার জন্য আপনাকে ব্যাকলিংক তৈরি করতে হবে। আর বেশি বেশি ব্যাকলিংকের জন্য আপনাকে গেস্ট ব্লগিং করতে হবে। ওয়েবসাইট ্যাঙ্কের জন্য ব্যাকলিংক বিল্ড করা একটি কার্যকরী সমাধান।

গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে নিজের ব্লগের বাইরেও পরিচিত অন্যের ব্লগে লেখালেখি করা। আপনি যদি পরিচিত অন্য কারো ব্লগে লেখালেখি করেন, তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সেখানে শেয়ার করার সুযোগ পাবেন। যা আপনার ওয়েবসাইটের জন্য অনেক ভালো একটা দিক।

কিন্তু বেশিরভাগ ব্লগ লেখকরাই এটা নিয়ে খুব একটা ভাবে না। বা অন্য ব্লগে লেখার সুযোগ তৈরি করতে পারে না। কিন্তু আপনাকে বেশি বেশি গেস্ট ব্লগিং করতে হবে এবং সেখানে নিজের ব্লগের লিংক শেয়ার করতে হবে। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বাড়বে৷ আর গুগল ওই সকল ওয়েবসাইটকেই ্যাঙ্ক করে দেয়, যাদের ভালো ব্যাকলিংক রয়েছে।

নতুন বা প্রফেশনাল ব্লগারদের জন্য গেস্ট ব্লগিং করার ক্ষেত্র কোর্সটিকা একটি উন্মুক্ত ক্ষেত্র। আপনি ইচ্ছে করলে কোর্সটিকায় গেস্ট ব্লগার হিসেবে লিখতে পারেন এবং আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন। কোর্সটিকায় লেখা পাঠান mail@courstika.com এই ঠিকানায়৷

১০. নিয়মানুবর্তিতার অভাব: নতুন ব্লগাররা খুব অল্প সময়েই বেশি সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করে। যেটা আসলে কখনোই সম্ভব না। ব্লগিং সাফল্য পেতে হলে আপনাকে যথেষ্ট সময় শ্রম দিতে হবে এবং নিজের ব্যতিক্রমধর্মী মেধা প্রয়োগ করতে হবে। অনেককেই দেখা যায়, যারা নিজের ব্লগে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করেন না। মাসে দুই একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলে ব্লগের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না। আপনার ব্লগ নিয়মিত আপডেট না রাখলে সার্চ ইঞ্জিনে তার ্যাঙ্ক হারাবে।

তাই দেরীতে এবং অনিয়মিত ব্লগ আপডেট করাটা একটি সাংঘাতিক ভুল। যদি আপনি ব্লগিং সফল হতে চান এবং গুগল সার্চে অধিক ট্রাফিক পেতে চান, তাহলে আপনার নিজের ব্লগে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি যদি আপনার ব্লগে নিয়মানুবর্তি না হন তাহলে সফলতা পেতে অনেক কষ্ট হতে পারে। তাই, নিজের ব্লগ নিয়মিত আপডেট রাখুন এবং প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইটি আর্টিকেল পাবলিশ করুন।

সবশেষে ব্লগিং হচ্ছে একজন ব্লগারের মেধা প্রকাশের জায়গা। এটা হেলাফেলা করার মতো কোন কাজ না। আপনি যেহেতু এই পেশায় চলেই এসেছেন, তার মানে ধরে নিতে হবে আপনি অনেক কিছুই জানেন। তাই ব্লগের কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি করতে ওপরে উল্লেখিত ভুলগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। ভালো কনটেন্ট লেখার পরেও যদি আশানুরূপ ভিজিটর না আসে, তবে আপনি কি কি ভুল করছেন, তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করুন।

 Read More

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরিচিতি


RAM এবং ROM এর মধ্যে পার্থক্য কি?


HDD এবং SSD কি?


কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং কিকেনকিভাবে?


কন্টেন্ট রাইটিং কিকেন এত গুরুত্বপূর্ণ? (বিস্তারিত জানুন)


পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ

SEO এর পূর্ণরূপ Search Engine Optimization কি?

Google Analytics

Google Search Console

সাইটম্যাপ (Sitemap)

এসইওর কিছু ভুল প্রাকটিস


No comments

Powered by Blogger.